(এহছান খান পাঠান): ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে চীনা একটি সরকারি ওয়েবসাইটে জানানো হল করোনার কথা। কিন্তু এরপর ১০০ দিনে মানুষের মুখের হাসি মুছে গিয়ে সেখানে ভর করেছে তীব্র আতঙ্ক, মৃত্যুভয়। খালি চোখে দেখা যায় না, এমন এক ভাইরাস ভোজবাজির মতো পাল্টে দিয়েছে পৃথিবীর চেহারা। সেই ভাইরাস আন্তর্জাতিক যোগাযোগ একপ্রকার অচল করে দিয়েছে; থামিয়ে দিয়েছে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, পৃথিবীর অর্ধেক মানুষকে বন্দি করে ফেলেছে যার যার ঘরের মধ্যে। এক কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর উহান থেকে ছড়ানো সেই নভেল করোনাভাইরাসের ছোবলে প্রায় পুরো পৃথিবী এখন মৃত্যুপুরীর চেহারা পেয়েছে।
১০০ দিনে সেই ভাইরাসের শিকার হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ বেশি মানুষ, প্রাণ গেছে ৮৮,৫০০ মানুষের। এই সংখ্যাগুলো স্থির নেই, বাড়ছে প্রতি মিনিটে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিরাও বড় অসহায় এই ভাইরাসের কাছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধীকারী, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্টও সংক্রমণ এড়াতে পারেননি। দরিদ্র এবং ঘনবসিতপূর্ণ কিছু দেশে এ ভাইরাসের প্রকোপ এখনও ততটা প্রকোট হয়নি। কিন্তু তারাও যে নিরাপদ থাকতে পারবে, সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের গবেষণা চললেও এখনও নভেল করোনাভাইরাসের অনেক কিছুই মানুষের অজানা। এর কোনো প্রতিষেধক বা প্রতিরোধকও মানুষ তৈরি করতে পারেনি। আর কত মানুষের মৃত্যু দেখার পর, অর্থনীতির কতটা ক্ষতি মেনে নেওয়ার পর পৃথিবীর মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে- সেই উত্তর এখনও অজানা।
(এহছান খান পাঠান, বার্তা সম্পাদক, দৈনিক অর্থনীতির কাগজ, ঢাকা)